ওয়েব ডেস্ক : রাজনৈতিক দলগুলিকেও যৌন হেনস্থা প্রতিরোধী আইনের আওতায় আনার আবেদন খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। শীর্ষ আদালতের তরফে জানানো হয়, কোনও রাজনৈতিক দলের সদস্যপদ গ্রহণ চাকরি নয়। ফলে সেক্সুয়াল হ্যারাসমেন্ট অফ ওমেন অ্যাট ওয়ার্কপ্লেস(প্রিভেনশন, প্রহিবিশন অ্যান্ড রিড্রেসাল) (Prevention, Prohibition and Redressal Act) অ্যাক্ট, ২০১৩ বা পশ(POSH) আইন রাজনৈতিক দলের ক্ষেত্রেও প্রয়োগ করার আবেদন খারিজ করল আদালত।
মামলাকারীদের তরফে বর্ষীয়ান আইনজীবী শোভা গুপ্তা শীর্ষ আদালতে সওয়াল করে বলেছিলেন, অন্য পেশায় যুক্ত মহিলাদের জন্য যে সুবিধা রয়েছে, তা থেকে রাজনীতিতে জড়িত মহিলাদের বাদ দেওয়ার কোনও কারণ নেই। পশ আইনের ব্যাপ্তি আরো বড়। ফলে সংগঠিত ক্ষেত্র হিসেবে রাজনৈতিক দলগুলিকেও ওই আইনের আওতায় আনা উচিত বলে জানিয়েছিলেন তিনি।
আরও খবর : সংশোধিত ওয়াকফ আইনে কাদের ক্ষমতায় সুপ্রিম স্থগিতাদেশ? জেনে নিন
তবে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতি বলেন, রাজনৈতিক দলকে কিভাবে কর্মক্ষেত্র হিসেবে বিবেচনা করা যাবে? তা করা হলে ব্ল্যাকমেইলিং করার প্যান্ডোরার বাক্স খুলে দেওয়া হবে। কারণ, কোন দলের সদস্যপদ চাকরি নয়।
প্রসঙ্গত, ওই আইনের চৌহদ্দি বাড়িয়ে রাজনৈতিক দলগুলিকেও অন্তর্ভুক্ত করার আবেদনে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) আগেই জানিয়েছিল, এমন আবেদন গ্রহণযোগ্য নয়। বলেছিল, এই বিষয়টি সংসদের এক্তিয়ারভুক্ত।
এর আগে কেরল হাইকোর্টে (Kerala High Court) একই মামলা হয়েছিল। সেই মামলা শুনানির সময় আদালতের তরফে জানানো হয়েছিল, ‘পশ’ আইনের (POSH Law)আওতায় অভ্যন্তরীণ অভিযোগ কমিটি গঠনের কোনও বাধ্যবাধকতা নেই। আর রাজনৈতিক দলের সদস্য়রা কোনও ‘কর্মচারী’ নন। পরবর্তীকালে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের কাছে একই আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু সেখান থেকেও সাড়া না পেয়ে একই আইনজীবী দ্বিতীয়বার আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টে। এবারও সুপ্রিম কোর্টের তরফে একই কথা জানানো হল।
দেখুন অন্য খবর :